Top Bangla Movie list of Sazzad Sadman
আমার দেখা সেরা কিছু বাংলা মুভির তালিকা দিলাম।
List activity
9.3K views
• 3 this weekCreate a new list
List your movie, TV & celebrity picks.
22 titles
- DirectorGoutam GhoseStarsPrasenjit ChatterjeeShahed AliRaisul Islam AsadThe movie is about a poet and singer Lalon Fakir who belongs to a mystic music cult called Baul and who believes and inculcates that the value of a human being is above the narrow belief of religions.কবে পাবো সেই মনের মানুষের দেখা?? আদৌ কি পাবো?? নাকি থেকে যাবো মনের মানুষের থেকে বহু দূরে?? অসীম শূণ্যতার দৃষ্টিতে লালন তাকায় অথৈ পানির নদীটির দিকে। হঠাৎ ভেসে আসে তার কন্ঠে : “মিলন হবে কত দিনে?? আমার মনে মানুষেরও সনে ... “
এভাবেই সমাপ্তি হয় মনের মানুষ মুভিটির। কিন্তু লালনের ন্যায় সকল দর্শকেরই যেন অপূর্ণ থেকে যায় সেই প্রশ্নের উত্তরের জন্য। কবে পাবো মনের মানুষের দেখা?? এভাবেই সম্পূর্ণ মুভিটিতে দর্শকদের এক জীবন দর্শনের নৌকায় ভাসিয়েছেন পরিচালক গৌতম ঘোষ।
মুভিটির কাহিনীর শুরু হয় গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় ভাই শ্রী জ্যোরিন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সময়ের বিখ্যাত দার্শনিক কবি লালন ফকিরের আলাপচারিতার মাধ্যমে। জীবন দর্শনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জ্যোরিন্দ্রনাথের কৌতুহল এবং লালনের অবাক করা সব উত্তর!! এবং মুভিটি চলে এর ফাঁকে বিভিন্ন সময়ে লালনের জীবনের অতীত কাহিনীগুলির মাধ্যমে। কীভাবে লালনের সাধারণ জীবন হয়ে ওঠে এক বাউলের জীবন। কীভাবে শিমুলতলায় তিনি গড়ে তোলেন অদ্ভূত এক স্বপ্নের সমাজ। কীভাবে মানুষের প্রতিহিংসার শিকার হতে হয় তাকে। এভাবেই গড়ে ওঠে মনের মানুষের কাহিনী।
লালন ফকির এবং তার দর্শনের উপর দিয়ে কথা বলা স্পর্ধা আমার নেই। তবে মুভি হিসেবে “মনের মানুষ” কে বেশ বিরক্তিকর একটি মুভি বলবো। গৌতম ঘোষ যদিও কোন সাধারন মানের বাণিজ্যিক মুভি পরিচালক নন। তবে তার প্রত্যেকটি মুভি বেশ রোমাঞ্চকর হয়ে থাকে। এ জন্য মুভিটির উপর আমার আশার পাহাড় জমে ছিল যেটা খুব একটা পূরণ হয়নি। মুভিটিতে কোন কাহিনীর শুরু এবং সমাপ্তি নেই। শুধুমাত্র অসাধারণ কিছু দৃশ্যের পুষ্পগুচ্ছ!!
অভিনয়ের দিক দিয়ে বলবো অসাধারণ বললে কম হবে লালন ফকির চরিত্রে প্রসেনজিতের অভিনয়। এটাই প্রসেনজিতের সেরা অভিনয় নিঃসন্দেহে। যুবক লালন এবং বৃদ্ধ উভয় চরিত্রে দারুন অভিনয় করেছেন। এরপরই যার নাম নিতে হবে সে হলো কালুয়া চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী। বিশ্বমানের অভিনয় করে সকলের মন জয় করে নিয়েছে চঞ্চল। এছাড়া বেশ ভালো করেছেন কমলী চরিত্রে পাউলি দাম। সিরাজ সাই চরিত্রে রাইসুল ইসলাম আসাদের চরিত্র বেশ সংক্ষিপ্ত হলেও প্রশংসা করে শেষ করা যায় না। এছাড়া জ্যোতিরিন্দ্রনাথ চরিত্রে প্রিয়াংশু চট্টোপধ্যায় বেশ ভালো করেছেন।
মুভিটি মোট ২ ঘন্টা ৩০ মিনিটের। সুতরাং বেশ ধৈর্য সহকারে দেখতে হয়েছে। মোট ১৮টি গান আছে মুভিটিতে। সুতরাং মরমি লালন সংগীত যাদের খুব একটা পছন্দ নয় তাদের জন্য বেশ কষ্ট হতে পারে মুভিটি। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে মুভিটি সকলের ভালো লাগার মত হয়নি। এছাড়া জীবন দর্শনের ভাবের মধ্যে মানুষের জৈবিক চাহিদার প্রয়োজনীয়তাকে একটু বেশি গুরুত্ব দিয়ে দৃশ্যগুলিকে বেশ বেখাপ্পা বলে মনে হয়েছে ।
তবে বাংলাদেশের মানুষেরা যে কতটা মুভি পাগল এই মুভির প্রতি আগ্রহে সেটা প্রমাণিত হয়। এক কথায় মুভিটি দেখার জন্য একরকম ঝাপিয়েই পরেছে যেটি খুবই আশাবাদী একটা দিক। আশা করি এ দেশের সকল মেধাবী পরিচালকদের নজরে সেটি আসবে। সব মিলিয়ে একটু অধিক ভাব-গাম্ভীর্যপূর্ণ মুভি। - DirectorMostofa Sarwar FarookiStarsShahir Huda RumiChanchal ChowdhuryNusrat Imrose TishaAs a leader of the local community, Chairman Amin bans every kind of image in his water-locked village in rural Bangladesh. He even goes on to claim that imagination is also sinful since it gives one the license to infiltrate into any prohibited territory. But change is a desperate wind that is difficult to resist by shutting the window. The tension between this traditional window and modern wind grows to such an extent that it starts to leave a ripple effect on the lives of a group of typically colorful, eccentric, and emotional people living in that village. But at the very end of the film, Television, which he hated so much, comes to the rescue and helps Chairman Amin reach a transcendental state where he and his God are unified. A new twist to the story makes him embrace IMAGE and IMAGINATIONটেলিভিশন মুভি রিভিউ-
কাহিনী মোটামুটি এরকম, বাংলাদেশের নোয়াখালি অঞ্চলের কোন এক গ্রামে এক বয়োজ্যেষ্ঠ চেয়ারম্যান প্রচণ্ড মাত্রায় খোদাভীরু একজন মুসলিম। তিনি নিজের ধর্ম ও ঈমান বাঁচাতে টেলিভিশন নামক শয়তানের বাক্সকে গ্রামে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও ক্যামেরা ব্যবহার ও ছবি তোলাকেও তিনি পাপ জেনে এইসব থেকে নিজে ও গ্রামবাসীকে দূরে রাখেন। সারা গ্রামে একমাত্র তার নিজের কাছে একটি মোবাইল ফোন রেখেছেন ব্যবসায়িক কাজে যোগাযোগের জন্য। তবে জরুরি কাজে টেলিফোন ব্যবহারের জন্য গ্রামের লোকেদের নদী পার হয়ে গঞ্জে যাওয়ার অনুমতি তিনি দিয়েছেন। একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের একটি গ্রামের লোকজন জীবনে চোখে টেলিভিশন দেখে নি, আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া পায় নি অনেক ক্ষেত্রেই; এই খবর কভার করার জন্য একটি টিভি চ্যানেল থেকে একজন মহিলা সাংবাদিক আসেন এই গ্রাম পরিদর্শনে। চেয়ারম্যান যেহেতু ক্যামেরার সামনে যান না, তাই পর্দার আড়ালে থেকে উনি একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতকার দিতে রাজি হন। বলা বাহুল্য, সাংবাদিকের যৌক্তিক নানা প্রশ্নে কোণঠাসা ও বিরক্ত হয়ে উনাকে বিদায় করে দেন। তবে সাংবাদিকও নাছোড়বান্দা, গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলতে যান তাদের মনোভাব জানতে। গিয়ে কিছুটা অবাক হন কারণ যদিও টিভি দেখার সাধ আছে সবার, কিন্তু সবাই খুশিমনে টেলিভশনের উপর নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছে কারণ চেয়ারম্যানের প্রতি তাদের অত্যন্ত ভক্তিশ্রদ্ধা ও আস্থা। এখানে একটা বিষয় ইতিবাচক যা আমাদের সাম্প্রতিক সিনেমাগুলোতে দেখা ভার। সিনেমা-নাটকে এখন প্রায়ই ইসলামিক বেশভূষা ও ইসলাম প্র্যাকটিস করা মানুষকে অনেক ক্ষেত্রে নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে যা কোন সুস্থ বিনোদনের বৈশিষ্ট্য নয়। গুটিকয়েক মানুষের দোষ একটি আদর্শ তথা বিশ্বাসের ওপর চাপানোর আগে নির্মাতারা আশা করি ভেবে দেখবেন।tele
মুভির শেষ অর্ধেকে পবিত্র হাজ্জ্বব্রত পালনের সংকল্প করেন চেয়ারম্যান মশাই। এরপরেই শুরু হয় নতুন বিপত্তি। কারণ হাজ্জ্বে যাওয়ার জন্য তাকে পাসপোর্ট করতে হবে, আর তার জন্য অবশ্যই ছবি তুলতে হবে ক্যামেরার সামনে গিয়ে যা কোনভাবেই করতে রাজি নন তিনি। বিশ্বাস রক্ষার এই মানসিক টানাপোড়েনে তিনি এখন কী করবেন ? ছবি না তোলাই বেছে নেবেন নাকি হাজ্জ্ব না করা? জানতে হলে দেখতে হবে মুভিটি।
মুভিতে এক করুণ প্রেমের কাহিনীও দেওয়া হয়েছে। ত্রিভুজ প্রেমের শেষে এক থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বারও পাওয়া যায়।
তিশার অভিনয় স্বাভাবিক। চঞ্চল তাঁর মতোই ভালো। আর মোশাররফের ডায়লগগুলা ছিল সেই মাপের। তবে সবচেয়ে ভালো অভিনয় করেছে কাজী শাহীর হুদা রুমী। বেশি ভালো।অভিনেতাদের সাথে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকি
আর মোস্তফা সরওয়ার ফারুকিকে নিয়া নতুন কিছুই বলার নাই। যদিও মুভির কনসেপ্ট নাকি তুর্কি মুভি “Vizontele” থেকে নেওয়া। তারপরও ভালো করেছেন তিনি। তিনি এই মুভির জন্য এশিয়া প্যাসিফিক ফ্লিম ফেস্টিবাল এ পুরষ্কারও পেয়েছেন।
IMDb rating- 7.9 - DirectorTauquir AhmedStarsShahiduzzaman SelimAshraful TusharMosharraf KarimThe coffin of an expatriate worker with manipulated identity intense the identity crisis when another person's corpse is found inside.“ একটি হৃদয়স্পর্শী বাংলাদেশী ছবি
অজ্ঞাতনামা শব্দের অর্থ হচ্ছে যার পরিচয় অজানা বা পরিচয়হীন।
বাংলাদেশ বিশ্বের এক নম্বর আদম পাচারকারী দেশ। আদম পাচারের মাধ্যমে এ দেশের অসংখ্য মানুষ বিদেশে পাড়ি দেয়। দালালদের নানা প্রলোভনে ফেঁসে সহজ সরল বাঙ্গালী তরুন বা যুবকটি এক বুক স্বপ্ন নিয়ে বিদেশের মাটিতে পাড়ি যদিও বা দিতে পারে; কিন্তু সেখানে তাকে হারাতে হয় তার সর্বস্ব। নিজের জন্মভূমি ছেড়ে পরভুমিতে না পায় সে ঠাঁই, না পায় সামান্য মানবিক অধিকার। অধিকন্তু নিজের নাম , পরিচয়টাও কখনো গোপন করতে হয়। পরভূমিতে, পরের নাম- পরিচয়ের আড়ালে লুকাতে গিয়ে এক একজন হয়ে উঠে অজ্ঞাতনামা।
অসম্ভব হৃদয়স্পর্শী ও গুরুপ্তপূর্ন একটা বিষয় হওয়ার পরও আদম পাচার এবং তা থেকে সর্বস্ব খোয়ানো মানুষগুলোর গল্প আমরা চলচ্চিত্রের পর্দায় এর আগে দেখেছি বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে তৌকির আহমেদের ছবিটি কেবলমাত্র এর সাবজেক্ট এর কারনেও ভিন্ন এক আবেদন তৈরী করে।
গল্প ও চিত্রনাট্য
ছবির গুরু গম্ভীর করুন সাবজেক্টকে নির্মাতা ভিন্ন স্বাদের একটা গল্পের মাধ্যমে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। বাংলার সহজ প্রকৃতিতে বেড়ে ওঠা সরল চরিত্রের কিছু মানুষ একটা জটিল পরিস্থিতিতে পরে যায়।
ছবির গল্পে অনেক গুলো চরিত্র একটা পরিস্থিতির সাথে অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়। চরিত্র গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পুত্রহারা পিতা (ফজলুর রহমান বাবু), দালাল বা আদম পাচারকারী (শহীদুজ্জামান সেলিম), বিদেশে যেতে মরিয়া বিধবা (নিপুন) পুলিশ ( শতাব্দী ওয়াদুদ, মোশাররফ করিম)।
ছবির চিত্রনাট্য অসম্ভব রকম গোছানো এবং যথেষ্ট গতিময়। বোর হওয়ার এতোটুকু সূযোগ নেই। আর সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে প্রতিটা চরিত্র পরিস্থিতির সাথে খুব সুন্দর ভাবে মিশে গেছে। এতোগুলো চরিত্রকে এমন চমৎকার ভাবে গল্পে মিশিয়ে দেয়া বাংলা চলচ্চিত্রে খুব একটা দেখা মেলে না। চিত্রনাট্যের দিক থেকে ছবিটি নিঃসন্দেহে বছরের সেরা চিত্রনাট্যে ছবি।
অভিনয়
ছবিটিতে জাঁদরেল সব অভিনেতাদের পাওয়া গেছে। ফজলুর রহমান বাবু অভিনয়ের এক নতুন স্ট্যান্ডার্ড দাড় করিয়ে দিয়েছেন। এ ছবিতে তার অভিনয় নিঃসন্দেহে আমার দেখা সেরা অভিনয় গুলোর একটি। পুত্রশোকে হতবিহবল পিতার চরিত্রে বাবু যেন পর্দায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে। তার শোকে পাথর চোখের স্থির দৃষ্টি হৃদয় ভেদ করে যায়। তার সরল মুখের এক্সপ্রেশন রীতিমত বিস্ময়কর।বাবু এ ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরুষ্কার দাবী করেন।
শহীদুজ্জামান সেলিম দালাল চরিত্রে দারুন মানিয়ে গেছেন। মোশাররফ করীমের কমেডি বেশ উপভোগ্য ছিল। শতাব্দী ওয়াদুদ পুলিশ চরিত্রে আমার দেখা সেরা অভিনেতা। পুলিশ চরিত্রে তার বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। এক কথায় অসাধারন অভিনয় । নিপুন ভালোই করেছেন। বাকি ছোট ছোট চরিত্রে ছোট পর্দার অনেক জনপ্রিয় মুখকে দেখা গেছে। এবং তারা সবাই নিজ নিজ চরিত্রে দারুন। শুধুমাত্র অভিনয়ের কারনেও এ ছবি প্রশংসা দাবী করে।
টেকনিক্যাল দিক
ছবির বাজেট খুবই কম ছিল। তৌকির আহমদের অন্য ছবিগুলো বিশেষ করে জয়যাত্রা এবং দারুচিনি দ্বীপ যতটা বড় বাজেটের ছিল এ ছবি তার থেকে অনেক কম বাজেট পেয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে তারপরও টেকনিক্যাল দিক বিবেচনায়ও ছবিটি মান সম্মত হয়েছে। সিনেমাটোগ্রাফী একেবারেই মানানসই এবং সুন্দর। বাংলাদেশের প্রকৃতি ছবিতে স্নিগ্ধ, সরল হয়েই ধরা দিয়েছে।
এডিটিং একেবারেই সার্প। ছবির দৈর্ঘ্য কম করে ছবিটিকে গতিময় করা এবং সেই গতিতে ছবির ভাবকে পারফেক্টলি ফুটিয়ে তোলার এডিটিং প্যানেল প্রশংসা দাবী করে। ইন ফ্যাক্ট, এতোটা ঝরঝরে সুন্দর সম্পাদনা বাংলা চলচ্চিত্রে খুব কম দেখা যায়।
ছবির ডায়লগ বেশ উপভোগ্য।
আর উপভোগ্য ছবির লোকেশন। রাতের ঝুম বৃষ্টিতে নদীতে নৌকা; এ যেন এক অন্য রকম সৌন্দর্য্য। গ্রাম, কাঁচা বা পাকা রাস্তা, ফসলী জমি, নদী; বাংলার গ্রামের দৃশ্য প্রান ঠান্ডা করে দেয়।
ছবির দুটো গানই অসম্ভব রকম আবেদন সৃষ্টি করে।
সবমিলিয়ে,
অজ্ঞাতনামা বিষয় বস্তুর দিক থেকে যেমন চরম হৃদয়স্পর্শী, তেমনি নির্মান ও অভিনয় গুনে চমৎকার একটি ছবি।
ছবিটি যেমন শিল্পসম্মত, তেমনি উপভোগ্য। ” - DirectorAmitabh Reza ChowdhuryStarsChanchal ChowdhuryMasuma Rahman NabilaPartha BaruaA struggling actor becomes a professional impostor, hired to impersonate people for financial gain, but as he delves deeper into his work he becomes embroiled in trouble that threatens to unravel his life.“ দেখে আসলাম আয়নাবাজি ( Aynabaji - The Movie )। এখনো মাথা ভোঁ ভোঁ করছে। কি দেখলাম? মনে হলো এই মুভি নিয়ে রিভিউ দিলেও কম হয়ে যাবে। আচ্ছা The Shawshank Redemption মুভির কোন রিভিউ দিয়ে বুঝানো সম্ভব? এখন পর্যন্ত IMDb তে যদি এই মুভি টপ রেটিং মুভি হয়ে থাকে তাহলে আমি বলবো বাংলাদেশের মুভিকে যদি রেটিং করা হয় তাহলে "আয়নাবাজি" থাকবে সবার উপরে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এত সাসপেন্স সহ কোন মুভি পূর্বে তৈরি হয়নি। গল্প, মেকিং, স্টোরি টেলিং, সিনেমাটোগ্রাফি, অভিনয়, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, কালার গ্রেডিং সহ কমপ্লিট প্যাকেজ হচ্ছে "আয়নাবাজি"। কেউ যদি জিজ্ঞেস করে এই মুভির খুত কোথায়? এটার সবচেয়ে বড় খুত হচ্ছে এই ১০০% নিখুত মুভি কেন এতদিন পাইনি!
এবার আসি চঞ্চল চৌধুরী ( Chanchal Chowdhury ) । থিয়েটারের কি শক্তি তা হয়তো উনি একাই বুঝিয়ে দিলেন। Catch Me If You Can মুভির ডিক্যাপ্রিও এর চরিত্র সবার মনে আছেতো? লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও যদি অভিনয়ের জন্য অস্কার পায় তাহলে আমাদের দেশের চঞ্চল চৌধুরীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র! এক সাথে এত চরিত্র চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার ক্ষমতা সবার নেই। জাত অভিনেতা হলেই সম্ভব।
অমিতাভ রেজা চৌধুরী ( Amitabh Reza Chowdhury ) । এটি শুধু নাম নয়, একটি ব্র্যান্ড! বাংলাদেশের টিভিসিগুলো এত এত স্ট্যান্ডার্ড পর্যায়ে চলে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো অমিতাভ রেজা। মাত্র ২ মিনিটে যে অসাধারণ গল্প বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যিনি উপহার দিতে পারেন তিনি যদি ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট পান গল্প বুঝানোর জন্য তাহলে সেটা কেমন হতে পারে অনুমান করতে পারেন? আমার মনে হয় মুভি তৈরির জন্য উনি এত সময় নিয়েছেন শুধুমাত্র আমাদের ম্যাচিউরিটি তৈরির জন্য! কারণ এই মুভি বুঝতে হলে শুধু দুচোখ দিয়ে দেখলে হবে না, মনের চোখ দিয়ে দেখতে হবে, দেশের একজন সাধারণ নাগরিকের চোখ দিয়ে দেখতে হবে, একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। মুভি ডিরেকশন খেলা নয়, সাধনার বিষয় সেটাই হয়তো ১৫ বছর সাধনা করে বুঝিয়ে দিলেন Amitabh Reza Chowdhury ।
আয়নাবাজি মুভি কেন সবার মুখে মুখে? কিসের এত মহত্ব? আচ্ছা আয়নাবাজি মুভির বড় ম্যাসেজের সাথে সাথে ছোট ছোট ম্যাসেজগুলো সবাই ধরতে পেরেছেন? একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব, পুলিশের দায়িত্ব কিংবা সাংবাদিক হিসেবে আসলেই কি করা উচিত এই ম্যাসেজগুলো পেয়েছেনতো? আমাদের ঢাকা শহর কে এত পজিটিভভাবে পূর্বে কেউ দেখাতে পেরেছে? মুভি সম্পর্কে আর তেমন কিছু বলবো না। এটার জন্য আপনাদের দৃষ্টভঙ্গির উপরেই ছেড়ে দিলাম।
দর্শক হিসেবে আমাদের কাজ কি? তেমন কঠিন কিছু না। সিনেমা হলে গিয়ে এই মুভি দেখা প্রথম কাজ। দ্বিতীয়বার কেন আবার দেখতে যাবেন সেটা নাহয় নাই বললাম। একেক জন দর্শক একেকটি টিভি চ্যানেল। তাই প্রচারের জন্য এই দর্শকরাই যথেষ্ট। "Word of mouth'' বলে যে অসাধারণ মার্কেটিং পাওয়ার আছে সেটাই হচ্ছে দর্শক। এছাড়া IMDb তে গিয়ে আয়নাবাজির রেটিং দিয়ে বাংলাদেশি মুভি হিসেবে সবার উপরে নিয়ে আসতে পারেন।
মুভি রিভিউ হিসেবে এটাই আমার প্রথম। ছোট করে লিখতে চেয়েও বড় হয়ে গেল। আরো অনেক কিছুই বাদ রয়ে গেল। সেটা নাহয় হবে আরো একদিন।
জয়হোক আয়নাবাজির, জয়হোক বাংলাফিল্মের। ” - DirectorChashi Nazrul IslamStarsKhosruMuradNantuThe movie is about the liberation war of Bangladesh at 1971. This historical movie say about the sacrifice people had to do for the freedom of their country.নজরুল ইসলামের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য এই চলচ্চিত্রে কেয়ার ভূমিকা ছিল একজন নারী মুক্তিযোদ্ধার। শুটিং-এর প্রথম দিনে তার সহশিল্পীদের সঙ্গে পরিচয়ের স্মৃতি তুলে ধরতে তিনি বলেছিলেন এই কথাগুলো।
অভিনেত্রী কেয়ার কথাগুলোকে নিছক ভাবাবেগের বশে বলে ফেলা প্রশংসাবাণী মনে করলে ভুল হবে। কারণ, সত্যিকার অর্থেই স্বাধীন বাংলাদেশে তৈরি হওয়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রথম সিনেমা ‘ওরা ১১ জন’-এর ১১ জন কলাকুশলী ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। রণাঙ্গনের সম্মুখসমরে জয়ী হয়েই তারা ছিনিয়ে এনেছিলেন এদেশের স্বাধীনতা।
১৯৭২ সাল। সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশে তখন সমস্যার অন্ত নেই। পাকিস্তানিদের সঙ্গে নয় মাস লড়াইয়ের দগদগে ক্ষত দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে। যুদ্ধের বিভীষিকা থেকে তখনও মুক্তির অপেক্ষায় থাকা জনগণের অনেকের পেটেই ভাত নেই। এরকম সময়ে সিনেমা? তাও আবার মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করেই?
সেই সাহসটাই দেখিয়েছিলেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম। বিজয় অর্জনের এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি নেমে পড়েন ‘ওরা ১১ জন’ নির্মাণের কাজে। অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তুলে ধরা কালোত্তীর্ণ এই সিনেমার কারণেই চিরদিন অমর হয়ে থাকবেন একুশে পদকজয়ী এই নির্মাতা।
নিজের জবানীতে চাষী নজরুল ইসলাম অনেকবার বলেছেন, যুদ্ধের সময়েই তিনি ঠিক করে রেখেছিলেন, বেঁচে থাকলে একদিন তৈরি করবেন স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে চলচ্চিত্র। ‘ওরা ১১ জন’-এর মাধ্যমে নিজের সেই প্রতিজ্ঞা পূরণ করেছিলেন তিনি!
ত্রিশ লাখ শহীদের এই যুদ্ধে পাকিস্তানের নৃশংস গণহত্যার করুণ ইতিহাস উঠে আসে ‘ওরা ১১ জন’-এ। এর মধ্যেই বাঙ্গালির আত্মত্যাগ, অন্যায়ের বিরূদ্ধে মাথা নত না করা, গেরিলা যোদ্ধাদের বীরত্ব বাস্তবানুগভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন চাষী নজরুল ইসলাম। সেই সঙ্গে এদেশীয় দালালদের পাকিস্তানিদের পদলেহনের ঘৃণ্য ইতিহাস ও তার পরিণতিও দেখানো হয়েছে সিনেমাটিতে। এছাড়াও, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অধিকাংশ সিনেমাতেই যে বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যায়- যুদ্ধে নারীর সেই অবদানকেও সরাসরি তুলে আনে এই সিনেমা। কেবল বীরাঙ্গনা হিসেবে নারীর আত্মত্যাগই নয়, যুদ্ধের ময়দানে পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নারীদের লড়াইয়ের চিত্রও উঠে এসেছে ‘ওরা এগারো জন’-এ।
“আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপিত হয়েছিল ১১ দফা ছাত্র আন্দোলন থেকে, যা পরবর্তীকালে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয়। তাছাড়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ১১ জন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। এই চিন্তা থেকে সবার সম্মতিক্রমে ছবির নাম নির্বাচিত হল ‘ওরা ১১ জন’।” - একবার এক সাক্ষাৎকারে সিনেমাটির নামকরণ সম্পর্কে এমনটাই জানিয়েছিলেন চাষী নজরুল ইসলাম।
সিনেমার নামের মতোই এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা দৃশ্যে নানা রূপকের ব্যবহার কুশলতার সঙ্গেই ঘটিয়েছেন পরিচালক। সিনেমার শুরুতে ছয়টি কামানের শব্দ ব্যবহার করা হয়েছিল। নির্মাতার ভাষ্যে, ওগুলো ছিল ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ছয় দফার প্রতীক। ‘ওরা ১১ জন’-এর শুরু সাইফুল ইসলামের কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত ‘ও আমার দেশের মাটি’ দিয়ে। আর শেষ সাবিনা ইয়াসমিনের ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’ দিয়ে। দেশপ্রেম থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের গাঁথাই যেন গান দুটি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন নির্মাতা।
সিনেমার ১১ জনের মুক্তিবাহিনির প্রত্যেক সদস্যই যে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, সে কথা বলা হয়েছে আগেই। খসরু, মুরাদ, হেলাল, বেবি, নান্টু, ওলীন, মঞ্জু, আতা, ফিরোজ, আবু, আলতাফ- শেষের জন বাদে এদের কারোরই ছিল না অভিনয়ের কোন প্রশিক্ষণ। তারপও কিছু দৃশ্যে সংলাপের জড়তা ছাড়া, সিনেমার নব্বই শতাংশেই এঁদের দৃঢ় উপস্থিতি আন্দোলিত করে দর্শকদের।
সিনেমাটিতে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধার অভিনয় সম্পর্কে চলচ্চিত্র সমালোচক চিন্ময় মুৎসুদ্দীর মূল্যায়ণ, “যুদ্ধের সময়কার ‘দুর্জয়-শপথে দৃপ্ত বাংলাদেশ’- এর ছবিই যেন মূর্ত হয়ে ওঠে এই ১১ জনের মধ্যে। আবেগ-তাড়িত দর্শক নিজেকেই খুঁজে পায় তাদের মধ্যে। পরিচালকের কৃতিত্ব এখানেই।”
চাষী নজরুল ইসলাম যে সিনেমায় কেবল সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েই অভিনয় করিয়েছেন, তা নয়। যুদ্ধের দৃশ্যগুলিতে সত্যিকারের অস্ত্র এবং গোলাবারুদের ব্যবহার করেছিলেন। নির্মাতার ছবিটিকে বাস্তবঘনিষ্ঠ করে তোলার আরেকটি প্রয়াস দেখা যায় যুদ্ধকালীন নিউজ ফুটেজ ব্যবহারে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, গণহত্যার ছবি, শরণার্থী শিবিরের দিকে মানুষের ছুটে চলা, পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণ এবং জনগণের বিজয়োল্লাস- সবকিছুরই একদম প্রথম দিককার এবং বিরল কিছু নিউজরিল কুশলতার সঙ্গে এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে। নতুন প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের দালিলিক প্রমাণ হিসেবেও তাই সিনেমাটি বিবেচিত হবে সবসময়।
সিনেমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা। ‘ওরা ১১ জন’-এর পুরোটা জুড়েই পুরুষের পাশাপাশি রণাঙ্গনে নারীর ভূমিকাকে দেখানো হয়েছে সমানভাবে।
সিনেমার অন্যতম চরিত্র, মুক্তিযোদ্ধা খসরুর বোন, মেডিকেল ছাত্রী মিতার ভূমিতায় অভিনয় করেছিলেন শাবানা; যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই প্রত্যন্ত গ্রামে চলে যায় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করতে। সেখানেই পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নিগৃহীত হতে হয় তাকে। ধর্ষণের গ্লানি বয়েও শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবাতেই নিয়োজিত থাকে সে।
ওই একই গ্রামে বাস করে কেয়া। খসরুর অধীনে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে গোপনে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেয় সে। অস্ত্রের পশিক্ষণপ্রাপ্ত কেয়া যখন জানতে পারে তার নিজের বাবাই গ্রামের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান, তখন চোখে জল এলেও বাবাকে গুলি করে মেরে ফেলতে দ্বিধা করে না সে। পাকিস্তানিদের আক্রমণ শুরু হলে পুরুষ সহযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই মেশিনগান চালায়।
সেবিকা, যোদ্ধা- এই দুই চরিত্রের পাশাপাশি নিপিড়িতা, নিগৃহিতার চরিত্রেও নারীকে দেখিয়েছেন পরিচালক। খসরুর বাগদত্তা শীলাকে (নূতন) যেমন দেখা যায় যুদ্ধ শেষে বন্দিশিবির থেকে মুমুর্ষ অবস্থায় খসরুর কোলে লুটিয়ে পড়ে প্রাণত্যাগ করতে। স্বাধীনতা যুদ্ধে দুই লাখ নারীর সম্ভ্রম বিসর্জনের ইতিহাসই যেন এক নিমেষে উঠে আসে দৃশ্যটির মাধ্যমে।
সেইসঙ্গে বীরাঙ্গনাদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার বিষয়টিও সিনেমার শেষের অংশে তুলে ধরেছেন নির্মাতা। দীর্ঘদিন পাকিস্তানিদের অত্যাচার সওয়া পারভেজ ফিরে এসে যখন জানতে পারে, তার প্রেমিকা মিতার সম্ভ্রমহানীর কথা, তখন ঘৃণায় দূরে ঠেলে দেওয়ার পরিবর্তে ভালোবাসা দিয়ে প্রেয়সীকে বুকে টেনে নেয় সে।
পারভেজের চরিত্রে সিনেমাটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা নায়করাজ রাজ্জাকের অভিনয় ছিল এককথায় অনবদ্য।
রাজ্জাক, শাবানার পাশাপাশি পার্শ্ব-চরিত্রগুলোতে নিজেদের কুশলতার পরিচয় রেখেছেন আলতাফ, হাসান ইমাম, রওশন জামিল, সুমিতা দেবী, মিনারা জামান, এ টি এম শামসুজ্জামানের মতো অভিনয়শিল্পীরা। বিশেষ করে সন্তানকে একবার দেখবার আশায় পথ চেয়ে থাকা গেরিলার চরিত্রে আলতাফ, যুদ্ধে নিজের বড় ছেলেকে হারিয়ে ছোট ছেলেকেও মুক্তিবাহিনির হাতে সঁপে দেওয়া মায়ের চরিত্রে রওশন জামিল আর ধূর্ত, স্বার্থান্বেষী কিন্ত একইসঙ্গে কাপুরুষ রাজাকারের চরিত্রে এ টি এম শামসুজ্জামানের অভিনয় মনে রাখার মতো।
যুদ্ধের মতো করুণ এবং জটিল একটি বিষয়ের উপস্থাপনেও দর্শকেরা যাতে হাঁপিয়ে না ওঠে, সেদিকে দৃষ্টি ছিল পরিচালকের। সিনেমাটিক রিলিফ হিসেবেই তাই হয়তো তিনি বার বার অবতারণা করেছেন হাস্যরসের। জনতার ধাওয়ায় পাকিস্তানি সৈন্যের পানিতে পড়ে যাওয়া কিংবা, ঝোপের আড়ালে গরুর শব্দ শুনেই মুক্তিবাহিনি ভেবে রাজাকারদের ভয়ে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার দৃশ্যগুলো তাই প্রশংসার দাবিই রাখে।
সিনেমা দীর্ঘ হলেও, এর গল্পকাঠামো, সংলাপ আর বক্তব্যের কারণেই ‘ওরা ১১ জন’ শেষ পর্যন্ত দেখার দাবি রাখে। ত্রুটিমুক্ত না হলেও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নতুন এক ধারার পথিকৃত হিসেবে এই সিনেমা সবসময়ই থাকবে উচ্চাসনে। স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রথম এবং পূর্ণাঙ্গ এই চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের স্মৃতিও তাই চির অম্নান হয়েই থাকবে সিনেমাপ্রেমীদের মনে। - DirectorTareque MasudStarsNurul Islam BabluRussell FaraziJayanto ChattopadhyayA family must come to grips with its culture, its faith, and the brutal political changes entering its small-town world.বাংলা চলচিত্রের এক অনবদ্য সৃষ্টি "মাটির ময়না" মুভিটি।
যেখানে একই সাথে চিত্রায়িত হয়েছে আবহমান গ্রাম বাংলার অনেক পরিচিত ও লুকায়িত চিত্র।
ফুটে উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষার অবস্থা, ফুটে উঠেছে ভুল চিকিৎসা ও অন্ধ বিশ্বাসের ফল, সেই সাথে আরো দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও এর ভয়বহতা।
একটু সময় করে দেখে ফেলুন। সময় টা ভাল কাটবে। - DirectorTareque MasudStarsFazlul HaqueRabeya Akter MoniAli AhsanThe story of the film centers around the youth Ruhul, who lives with his family in a small hut next to the runway of the international airport. His mother Rahima struggles to support the family by selling milk from a cow bought with a micro credit loan. His sister Fatima works long hours in a garments factory. There's been no word from their father for over a month, since he left for a job in the Middle East. A Madras dropout, Ruhul spends his days wandering under the shadow of the planes, aimless and frustrated in his futile efforts to find work. One day at a cyber-cafe; he meets Arif, a computer savvy young man who exudes confidence and a sense of purpose. The world Arif introduces him to seems inspiring and new, but eventually Ruhul's life spirals into a nefarious netherworld of intolerance, violence and ultimately, death...কাহিনী ২০০৫-০৬ সালের, বাস্তব। মূল চরিত্র রুহুল যে থাকে এয়ারপোর্টের রানওয়ের পাশে, দাদা-মা-ছোট বোন সহ। বাবা মিডেল ইস্টে গেছে কিন্তু অনেকদিন ধরে কোনো খবর নাই। মাদ্রাসায় ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়া রুহুলের জীবন কাটে হতাশায়। ছোটবোন গার্মেন্টসে কাজ করে আর মা মাইক্রো ক্রেডিট লোন নিয়ে গরুর দুধ বিক্রি করে সংসার টানলেও রুহুল কোনো কাজ জুটাতে পারে না। যদিও সে মামার সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে টুকটাক কম্পিউটার শিখার চেষ্টা করে।
তো একদিন মামার শিখানো মত ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার দিয়ে ওয়েব পেইজ খুলছে না দেখে তার পাশে বসা আরিফ ওকে দেখায় দেয় কিভাবে মোজিলা ফায়ারফক্স দিয়ে আরো সুন্দর ভাবে নেট ব্রাউজ করা যায় ( ;) )। রুহুলকে আরো কিছু টিপস শিখানোর পর আরিফের বন্ধু হয়ে যায় রুহুল। এরা প্রায়ই একসাথে সময় কাটায় এবং রুহুলের অলস মস্তিষ্ক কাজে লাগিয়ে তাকে আল্লাহর রাস্তায়(!!) নেয়ার চেষ্টা করে। "জীবনের মানে কি? বেদায়াতী ও বেশরীয়তী কাজে বাধা দিয়ে ইসলামের আইন কায়েম করা - এটাই প্রত্যেক মুমিনের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য স্থির করে কাজ করে যেতে হবে" - এইভাবে ভুংভাং বুঝিয়ে জংগী ট্রেনিংএ রুহুলকে নিয়ে যায়।
ছবি - ওরা জংগী ট্রেনিংএ একটা নদীর চরে যাচ্ছে। যাওয়ার সময় এই মহিলার বিলবোর্ড দেখে হুজুরগুলা নাউজুবিল্লাহ বলতে থাকলেও বিলবোর্ড থেকে চোখ সরায় না ;)
এরপর এরা বাংলাদেশে বোম ফুটানো শুরু করে। আরিফ ছিনেমা হলে বোম ফুটায়। রুহুল জিজ্ঞাসা করে, যদি ওখানে তোমার মা-ছোট বোন থাকতো? আরিফ বলে তাদেরকেও মরতে হবে! কেননা তারা সাচ্চা মুসলিম হলে অবশ্যই ছিনেমা হলে যেত না!
এরপর রুহুল দ্বিধায় পড়ে যায়। সত্যের রাস্তা খুজতে গিয়ে সে অদ্ভূত অন্ধকার এক রাস্তা খুজে বের করে যেখানে চোখের বদলে চোখ তুলে ফেলাটাই নিয়ম।
বাকি কাহিনী আর বল্লাম না... ৫০ টাকা দিয়ে হলে গিয়ে দেখে নিয়েন।
এই মুভির কয়েকটা দৃশ্য মাথা খারাপ করে দেয়ার মত। প্রথমেই বলতে হয় রানওয়েতে দাড়িয়ে প্লেনের দিকে তাক করে এক পিচ্চির গুলতি মারা। গুলতি মেরে ঘুরে দাড়িয়ে সে যেই কটমটে ক্ষোভওয়ালা লুক দেয় - প্রাইসলেস!! মনে হবে এক ঢিলেই দুনিয়ার সব পুজিবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দিবে।
আরেকটা ছিলো, রুহুল যখন পুকুরের পানিতে উদাস হয়ে তাকিয়ে থাকে, পানিতে রুহুল-আকাশ-মেঘের প্রতিবিম্ব পড়ে। ঠিক তখনই প্রতিবিম্বের মধ্যে দিয়ে একটা প্লেন যায়। আরেকটা দৃশ্যে রুহুলকে তার মা গরুর দুধ দিয়ে মুখ ধুইয়ে দেয়। ভাগ্যক্রমে মুভি শেষ হবার পর বাইরে রুহুলকে (ফজলুল হক) পেয়ে যাই। উনাকে জিজ্ঞাসা করে দৃশ্যটার অর্থ মিলিয়ে নিলাম। এটা একটা প্রতিকী দৃশ্য, মুভি দেখলে আপনারা আরো ভালো বুঝতে পারবেন।
সিরিয়াস কাহিনী হলেও যথেষ্ঠ হিউমার ছিলো। অভিনেতা-নেত্রীরা তথাকথিত তারকা না, দেখতেও সুন্দর না। মুখেও মেকাপ নাই। তারপরেও উনারা যথেষ্ট স্বতস্ফূর্তভাবে ডায়ালগ দিছে, অভিনয় করছে। অনেকগুলা ডায়ালগ ছিলো মজার এবং মনে রাখার মত। যেমন রুহুল যখন আরিফের উস্কানীতে ধর্মান্ধ হয়ে যায়, তখন এক বান্ধবীর সাথে ওর কথা হয়। কথা বলার সময় মাটির দিকে তাকিয়ে ছিলো রুহুল। তখন ঐ মেয়ে বিরক্ত হয়ে টিটকারী মারে, "অহন গলাতেও (voice) পর্দা দেওন লাগবো নাকি?"
ক্যামেরার কাজ উপভোগ করার মত। প্রতিটা ফ্রেমিং যেনো মিশুক মনীরের এক একটা কবিতা। তবে সবচেয়ে অবাক হইছি ৩টা ছবিরই কালার কোয়ালিটি নিয়ে। আজকালের বাংলা ছিনেমা বা নাটকের মত মুভি প্রিন্ট না। যথেষ্ট ইনটেনসিভ, ট্রু কালার এবং উন্নত মানের। পাশের দেশেও এত চকচকে প্রিন্টের মুভি বের করে বলে মনে হয় না। আর সাউন্ড কোয়ালিটিও সেরকম। ১৬:৯ রেশিও আর ডলবি ডিজিটাল ৫.১ এ বানানো রানওয়ের মেকিং দেখার মত বটে!
শুধু ভিজুয়াল ইফেক্ট না, রানওয়ের গল্প নিয়ে চিন্তা করার মতও অনেক কিছু আছে। ধর্মকে ব্যাবহার করে কিছু মানুষ যে সবসময়েই খারাপ কাজ করছে সেটা খুব সুন্দর করে বুঝায় দেয়া হইছে। মাদ্রাসা মানেই ধর্মান্ধ ফ্যানাটিক বোমারু না। উগ্র মৌলবাদী শক্তির উত্থান, বিস্তার লাভ , এদের আশ্রয়দাতা, কর্মপদ্ধতি সবকিছুই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তুলে আনা হয়েছে এখানে। এখান থেকে বের হবার সহজ রাস্তাটাও তারেক বলে দিছেন গল্পের মধ্য দিয়েই। শত জনসভা আর হাজারটা টক শো যা না করতে পারবে তা "রানওয়ে" একবারের প্রদর্শনীতেই পারবে।
ওদের ফেসবুক স্ট্যাটাস বলছে প্রতিটি শো হাউজফুল। "বাংলা" সিনেমা দেখার জন্য মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে সিনেমা দেখতেছে। ৩টার শো-র টিকেট না পেয়ে ৫টার শো-র টিকেট কেটে পাবলিক লাইব্রেরীর সিড়িতে অপেক্ষা করতেছে মানুষ। তারেক বলতেন আমি মানুষের জন্য সিনেমা বানাই। কথাটা যে কতটা সত্য তা "রানওয়ে" না দেখলে বোঝানো যাবেনা।
আদমসুরত ছাড়া তারেক মাসুদের বাকি সব মুভি দেখা শেষ (রুহুল বলছে আদমসুরতের প্রদর্শনী নিয়ে উনাদের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নাই)। উনার শেষ মুভি রানওয়ে দেখে বলতেই হয় উনি আস্তে আস্তে আরো পরিপক্ক হইতেছিলেন মুভি বানানোতে। এভাবে আরো কয়েকটা দিন বেচে থাকলে দেশটা হয়তো অস্কারে ভরে যেত না, কিন্তু আমার মত মুভি পাগলের চোখ ও মনের পূজো হতো, দেশের মুভি বানানোর ট্রেন্ড আরো আধুনিক হতো আর মুভি দেখে বিনোদনের পাশাপাশি কিছু শেখাও যেত।
তারেক মাসুদ আর মিশুক মনির মারা গেছেন এ খবরটা শোনার পর একবারও মনে হয়নি তাদের কতটুকু প্রয়োজন আছে আমাদের কাছে কিন্তু রানওয়ে দেখার পর বাকরুদ্ধ হয়ে ভেবে অস্থির হয়েছি "আমরা কাকে হারালাম"!
ধুরো.. এত ভালো একটা মুভি দেখার পর এসব ভেবে মনটাই খারাপ হয়ে গেলো :( - DirectorNasiruddin YousuffStarsJaya AhsanFerdous AhmedShampa RezaCommon people struggle during independence war of Bangladesh.৪০ টি বছর পার হয়ে গেল। এখন ঐসব অতীত নিয়ে কী পরে থাকতে হবে নাকি?? ঐসব যুদ্ধাপরাধী আংকেল-দাদুগুলিকে মারলে তো আমার কালকের পরীক্ষায় পাস হয়ে যাবে না কিংবা বিদেশ থেকে কোম্পানীর অর্ডারটাও পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের প্রতিটি সমাজের মধ্যে যখন চলে এসেছিল মুক্তিযুদ্ধকে ভুলে যাবার মনোভাব তখন উচিত সময়ে উপস্থিত এক অসাধারণ চলচ্চিত্র “গেরিলা”। গেরিলাকে আমি কোন মুভি বলতে চাই না। এটি যেন ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের এক দলীল। সমস্ত যুদ্ধের ভয়াবহতার এক পুর্ণাঙ্গ চিত্র প্রকাশিত হয়েছে মুভিটিতে।
কাহিনী জানা যাক। ১৯৭১ এর একজন সাধারণ নারী বিলকিস বানু ( জয়া আহসান) । ২৫ শে মার্চ তার স্বামী হাসান (ফেরদৌস) নিখোঁজ হবার পর সে যোগ দেয় মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থ যোগান, অস্ত্র সরবরাহ এমনকি আলতাফ মাহমুদের দেয়া গানের স্পুল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে পৌছে দেবার কাজে সে সুনিপুণ। ছদ্মবেশে এক পাকিস্তানী জাকজমকপূর্ণ পার্টিতে বোমা স্হাপন করে বিলকিস। সবকিছু ঠিকঠাক মতই চলছিল। কিন্তু এক মুক্তিযোদ্ধা তার সমস্ত সহযোগীদের নাম বলে দিলে ঘন বিপদ এসে নাড়া দেয় বিলকিসের দ্বারে। বিলকিস তার শ্বশুড়বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যায় তার বাপের বাড়ী। কিন্তু দেশ তো আর আগের মত নেই। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। মাঝপথে ট্রেন বন্ধ। কারণ সামনে ব্রীজ ভাঙা। হাঁটা দেয় বিলকিস। সবুজ বাংলাদেশের পথে হাঁটতে গেলে লাশের স্তুপে হোঁচট খেতে হয়। নৌকায় নদী পার হতে গেলে দেখা যায় লাশ ভেসে আছে। গ্রাম গঞ্জে রাজাকার গুলি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে। বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে মা-বোনদের হানাদার বাহিনীর তেষ্টা মেটাবার জন্য। বিলকিস বাসায় পৌছাতে সাহায্য করে সিরাজ। সে এক মুক্তিযোদ্ধা । বিলকিসের ভাই খোকনও এক মুক্তিযোদ্ধা। খোকন বাহিনীর জ্বালায় নাকানি-চুবানি খাওয়া অবস্থা পাকিস্তানীদের। কিন্তু রাজাকারদের সাহায্যে ধরা পরে খোকন এবং রাজাকারদের দ্বারা নৃশংসভাবে নিহত হয়। বিলকিস খোকনের লাশ খুঁজতে গিয়ে ধরা পরে পাক-বাহিনীর কাছে। কিন্তু পাকবাহিনীর ক্যাপটেন শামসাদ হয়তো ভাবতেও পারেনি যে টেবিলের উপর রেখে দেয়া গ্রেনেডটি তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়াবে।
আগেই বলেছি মুভিটি একটি পূর্ণাঙ্গরুপে ৭১ এর ছবি। মুভিটিতে যুদ্ধের ভয়াবহতে একেবারে পুরোপুরিভাবেই দেখানো হয়েছে। প্রথম ভাগে শহর ভিত্তিক যুদ্ধ এবং শেষভাগে গ্রামভিত্তিক। সকল ক্ষেত্রেই রাজাকারদের সাহায্যের নমুনা দেখে অবাক হয়ে যেতে হয় এবং খালি মনে হয় এরাও মানুষ?? মুভিটিতে আলতাফ মাহমুদ ( আহমেদ রুবেল) , রুমি , বদির মতো সত্য চরিত্র দেখানো হয়েছে। সকলের অভিনয় অসাধারণ। প্রত্যেকের পারফর্ম্যান্স দেখেই বোঝা যায় যেন সকলের চোখে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক চিত্র দেখাবার জন্য এক জ্বালা ছিল । বিলকিসের ভাসুর সমাজের প্রভাবশালি তসলিম সর্দার ( এটিএম শামসুজ্জামান) এর চরিত্রটি সবার নজর কেড়েছে। এছাড়া আজাদ আবুল কালাম সহ প্রত্যেক রাজাকার চরিত্রের অভিনয় অভিনয় শিল্পীরা এতটাই ভালো অভিনয় করেছে যে সবাই ওদের থুতু মারতে উদ্যত হবে।
মূল চরিত্রে জয়া আহসানের অভিনয় বরাবরের মত অসাধারণ। জয়া আবারো প্রমাণ করলো যে সেই বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সেরা অভিনেত্রী। খল চরিত্রে শতাব্দী ওয়াদুদের অভিনয় দেখে সত্যি অবাক হতে হয়।
তবে মুভিটির নির্মাণ ছিল এক কথায় অসাধারণ। ৭১ এর মুভি বানানো সম্ভব, কিন্তু ৭১ এর বাংলাদেশ দেখানো সম্ভব নয়। সেই অসাধ্যটি সাধন করেছে পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ। পাকিস্তান রেলওয়ের ট্রেন বলুন কিংবা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশে সবুজ গ্রাম বলুন। সবকিছুই অসাধারণ। শতাব্দী ওয়াদুদকে দুটি চরিত্রে অভিনয় করানো হয়। দুটি পুরোপুরি দুজনকে দিয়ে করানো সম্ভব থাকলেও সব হানাদারদের চেহারা একই রকম হয় এটা দেখাতেই হয়তো তাকেই দেয়া হয়েছে। তবে দুটো চরিত্রেই দারুন করেছে শতাব্দী ।
মুভিটিতে ভয়াবহ ধরণের নৃশংসতা দেখানো হয়েছে যেটার বর্ণনা এখানে দিতে চাই না। মুভিটির কিছু কিছু দৃশ্য গায়ের লোম খাড়া করে দেয়। যেমন আলতাফ মাহমুদের দাড়িয়ে উঠে বলা: “আমি আলতাফ মাহমুদ!” কিংবা তসলিম সর্দারের শান্তি কমিটিতে যোগদানে অপরাগতা। দুধওয়ালা নরেন যখন বলে : “এদেশ ছেড়ে কোথায় যাবো??” এটা শুনে সকলেরই চোখে পানি চলে আসে।
মুভিটির খারাপ দিক নিয়ে একেবারে কম আলোচনা করবো। মুভিটির প্রথম ভাগে এডিটিং একটু খারাপ । যে দৃশ্যটা অসাধারণ হবার পথে চলছিল সেটি হঠাৎ করে শেষ হয়ে পরবর্তী দৃশ্য চলে আসে। মুভিটির গতি তখন অত্যাধিক মাত্রায় বেশী ছিল ফলে কোন কোন ঘটনার শেষ ফলাফল বোঝা যায় না। এছাড়া মুভিটির আবহ সংগীত আরেকটু ভালো হওয়া আশা করেছিলাম।
এ মুভিটি নিঃসন্দেহে সকল বাংলাদেশীর প্রাণের ছবি। সকলেরই উচিত মুভিটি অন্তত একবার দেখা। এবং মুক্তিযুদ্ধ কে আরো ভালো ভাবে জানা। আমরা আশা করবো এরকম মুভি যেন আরো বানানো হয় যেন আমাদের মন থেকে সেই গানটি ভেসে উঠে: “আমরা কোন দিন ভুলবোনা ... ...”। - DirectorSuchandaStarsRiazSharmin Zoha ShosheeA.T.M. ShamsuzzamanSets around some rural people and their village dealing with their lifestyle, struggle of survival, religion, marriage, relations, death and this ongoing process.জহির রায়হানের অমর উপন্যাস ‘হাজার বছর ধরে’ অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিটি পরিচালনা করেন তারই সহধর্মিনী এককালের দর্শকনন্দিত অভিনেত্রী কোহিনূর আক্তার সুচন্দা। সরকারি অনুদানে নির্মিত এই ছবিটিতে অভিনয় করেন সুচন্দা নিজে, রিয়াজ, শশী, শাহনূর এবং এ টি এম শামসুজ্জামান। ২০০৫ সালে নির্মিত ১৪০ মিনিট দৈর্ঘের এই ছবিটি ৬ টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার এবং ৪ টি ক্যাটাগরিতে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জ়ন করে। এছাড়াও ছবিটির জন্য সুচন্দাকে আমেরিকার ‘ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি’ প্রশংসাসূচক শুভেচ্ছাসনদ প্রদান করে।
- DirectorMd. Hafizur RahmanGiasuddin SelimStarsChanchal ChowdhuryFarhana MiliShirin AlamA housemaid is killed by a local landlord's son. His servant takes the blame for the murder, to save the landlord's mentally ill son and is marooned in an island named Monpura. There the servant comes across a fisherman's daughter.গিয়াসউদ্দিন সেলিমের রচনা ও পরিচালনায় এই ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন চঞ্চল চৌধুরী ও ফারহানা মিলি। এছাড়া মামুনুর রশীদ, ফজলুর রহমান বাবু, শিরীন আলম এবং মনির খান শিমুলের অভিনয় ছিল দেখার মত। প্রেম, বিরহ, কুসংস্কার এবং গ্রামীণ পারিবারিক ষড়যন্ত্রই ছিল এই ছবির মূল উপজীব্য। অর্ণবের সঙ্গীতায়োজনে এই ছবির গানগুলো ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয় হয়েছিল।
২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ১৩৮ মিনিটের মনপুরা ৫ টি বিভাগে জাতীয় পুরস্কার লাভ করে। IMDb তে ৮.২/১০ রেটিং পাওয়া ছবিটি ভারতে রিমেক হওয়ার কথা রয়েছে। - DirectorZahir RaihanStarsRazzakSuchandaShaukat AkbarA political satire of Bangladesh under the rule of Pakistan metaphorically, where an autocratic woman in one family symbolizes the political dictatorship of Ayub Khan in East Pakistan.জহির রায়হানের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ১৯৭০ সালের ১০ই এপ্রিল জীবন থেকে নেয়া চলচিত্রটি মুক্তি পেয়েছিল। ভাষা আন্দোলন, তৎকালীন দেশের অশান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প চিত্রিত হয়েছে এই ছবিতে। এই ছবিতেই প্রথম “আমার সোনার বাংলা” গানটি চিত্রিত হয়েছিল যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ছবিটির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন খান আতাউর রহমান। এতে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক, সুচন্দা, রোজী সামাদ, বেবি জামান, রওশন জামিল, আনোয়ার হোসেন সহ আরো অনেকে। জহির রায়হান নির্মিত সর্বশেষ চলচিত্র ছিল এটি।
- DirectorAlamgir KabirStarsBobitaAzmal Huda MithuBulbul AhmedA Delhi girl comes to her aunt's house, where she hears the reality of Bangladesh's independent story.মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত ‘ধীরে বহে মেঘনা’ ছবিটি রচনা ও পরিচালনা করেন প্রখ্যাত চলচিত্রকার আলমগীর কবীর। এটি ছিল তার পরিচালিত প্রথম ছবি, মুক্তি পায় ১৯৭৩ সালে। প্রথম ছবিতেই তিনি জাত চিনিয়েছিলেন। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন বুলবুল আহমেদ, ববিতা, আনোয়ার হোসেন সহ আরো অনেকে।
- DirectorRitwik GhatakStarsRosy SamadKabori SarwarRawshan ZamilAfter their wedding night, a fisherman's young wife is kidnapped on the Titas River in Brahmanbaria, Bangladesh.অদ্বৈত মল্লবর্মণের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন পশ্চিম বাংলার নামকরা পরিচালক ঋত্বিক ঘটক। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ১৯৭৩ সালে নির্মিত এই ছবিটিকে ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট সর্বকালের সেরা ১০ বাংলা ছবির তালিকায় স্থান দিয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন গোলাম মোস্তফা, কবরী, রোজী সামাদ, প্রবীর মিত্র সহ অনেক বিখ্যাত শিল্পী।
- DirectorAlamgir KabirStarsJayasree KabirBulbul AhmedKaffey KhanThe main setting of the movie was a disastrous cyclone and tidal bore which attacked Bangladesh in 1970. That vast spate washed away an opulent girl and a destitute man to a secluded island where no sign of other human was found. Dumping the class-distinction, they fell in love and founded that isolated island as their paradise. Even after their rescue, brutal social prejudices could not separate them and thus they forded across that primitive fringe with the message of love and equal-ism.এই ছবির কাহিনীটি আপনার পরিচিত মনে হবে। জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে দুজন মানব মানবী ভাসতে ভাসতে এক নির্জন দ্বীপে এসে পড়ে। তারপর জন-মানবহীন সে দ্বীপে তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম শুরু হয়। বহুদিন পর নৌবাহিনীর একটি টহল জাহাজ তাদের দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে মূল ভূ-খন্ডে নিয়ে আসে। সাথে কিছু ফ্যামিলি ড্রামা ছবিটিকে করেছে অনন্য। কি, কাহিনীটি পরিচিত না ? একই রকম কাহিনী নিয়ে পৃথীবীর নানা দেশে আরো অনেক ছবি তৈরি হয়েছে। ১৯৭৩ সালে নির্মিত ছবিটির পরিচালক ছিলেন আলমগীর কবীর আর এতে অভিনয় করেছেন বুলবুল আহমেদ, জয়শ্রী কবীর, তনুজা ও গোলাম মোস্তফা। গুরত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অতিথি শিল্পী হিসেবে আরো অভিনয় করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকা।
- DirectorAlamgir KabirStarsBulbul AhmedSharmili AhmedAnwar Hossain১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটিকে পরিচালক আলমগীর কবীরের জীবনের সেরা কাজ বলে গণ্য করা হয়। কথিত আছে- এই ছবিটি তিনি নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করেছেন। এতে অভিনয় করেছেন- বুলবুল আহমেদ, জয়শ্রী কবীর, আনোয়ার হোসেন, শর্মিলী আহমেদ, অঞ্জনা রহমান সহ আরো অনেকে। ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের স্ররব কালের সেরা ১০ চলচিত্রের মাঝে এটিকেও স্থান দিয়েছে।
- DirectorSheikh Niamat AliMasihuddin ShakerStarsDolly AnowarRawshan ZamilSitara BegumA poor family returns to their village from Dhaka after The Great Bengal Femine 1943. This movie centers on their struggling life during the World War II period.আবু ইসহাকের উপন্যাস অবলম্বনে ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ চলচিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী। ১৯৭৯ সালে নির্মিত ছবিটিতে ডলি আনোয়ার, জহিরুল হক, রওশন জামিল, কেরামত মাওলা, এ টি এম শামসুজ্জামান সহ আরো অনেকেই অভিনয় করেন। ১৯৮০ সালে জার্মানির ‘ম্যানহেইম চলচিত্র উৎসবে’ অংশ নিয়ে ছবিটি ৩টি ক্যাটাগরিতে পুরষ্কৃত হয়। এছাড়া পর্তূগালের ‘ফিগুয়েরা চলচিত্র উৎসব’ থেকেও একটি পুরষ্কার ছিনিয়ে আনে ছবিটি। বাংলাদেশের প্রথম সরকারি অনুদানে নির্মিত ছবিটি জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কারও লাভ করে।
- DirectorGoutam GhoseStarsRaisul Islam AsadChampaRoopa GangulyHossain, a Bengali Muslim wants to establish a little Utopia on an island in the Padma delta. He doesn't care if the people who populate it are Hindu or Muslim.মানিক বন্দোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ছবিটি পরিচালনা করেন প্রখ্যাত ভারতীয় চলচিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ। এতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের রাইসুল ইসলাম আসাদ, চম্পা ও হুমায়ূন ফরিদী আর ভারতের রবি ঘোষ এবং রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ছবিটি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশেই জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কার লাভ করে।
- DirectorHumayun AhmedStarsBipasha HayatAsaduzzaman NoorAbul HayatIn the middle of the 1971;curfew is going on all over the Bangladesh. The liberation army is operated as effective guerrilla force - Badiul Alam is one them. Alam plans for starting guerrilla operation in the capital and hides himself in Mr. Matin's house. Mr. Matin lives with his loving wife Surma and two beautiful daughters Ratri and Opala. In association with other freedom fighters, Alam operates some successful guerrilla attacks against barbarous Pakistani military . But one after another his fellow freedom-fighters are getting caught by the military, tortured , murdered. Alam being shot and seriously injured is taken to Matin's house ; can he survive? Can he see the light of morning again ?হুমায়ূন আহমদের উপন্যাস অবলম্বনে এবং তারই পরিচালনায় ১১৯৪ সালে নির্মিত ‘আগুনের পরশমনি’ বাংলাদেশের অন্যতম সেরা মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গেরিলা সংগঠন ‘ক্রাক প্লাটুনের’ একটি সত্য অভিযান অবলম্বনে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। ছবিটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন আসাদুজ্জামান নূর, বিপাশা হায়ান, আবুল হায়াত এবং ডলি জহুর। সরকারি অনুদানে নির্মিত এই ছবিটি ১৯৯৪ সালে ৮টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় পুরষ্কার জিতে নেয়। IMDb তে মুভিটির রেটিং ৮.৭/১০ এবং রটেন টম্যাটোসে ৬২% দর্শক ছবিটি দেখার ইচ্ছা পোষণ করেন।
- DirectorMorshedul IslamStarsArun SahaShubashishBulbul AhmedAn adventure story for young boys.মুহাম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস অবলম্বনে শিশুতোষ এই চলচিত্রটি পরিচালনা মোরশেদুল ইসলাম। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ছবিটিতে অভিনয় করেন বুলবুল আহমদ, ববিতা, আবুল খায়ের এবং গোলাম মোস্তফা। দীপুর বাবার বদলীর চাকরি। ছোটবেলায় তার বাবা-মার ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় সে তার বাবার সাথে থাকে, তার সাথেই দেশের নানান প্রান্তে ঘুরে বেড়ায়। এজন্য তার এক বছর কাটে এক স্কুলে। সম্প্রীতি সে যে স্কুলে এসেছে সেখানে আগেই দীপু নামের একজন থাকায় তার নাম হল দীপু নাম্বার টু ! দীপু এবং তার বন্ধুদের নিয়েই এই ছবি। দীপু চরিত্রে অরুণ আর তারেক চরিত্রে শুভাশীষের অভিনয় এদেশের শিশু-কিশোররা অনেক দিন মনে রাখবে। এখনো দেশে নির্মিত শিশুতোষ চলচিত্রের কথা আসলে ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়া ১৫৩ মিনিটের এই ছবিটির কথাই সবার আগে আসে।
- DirectorTanvir MokammelStarsRaisul Islam AsadMunira Yusuf MemyChandniIn this tragic-comic study of religious hypocrisy, a disreputable cleric convinces villagers that their community is home to a famous holyman's grave.সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর উপন্যাস অবলম্বনে লালসালু ছায়াছবিটি পরিচালনা করেন তানভীর মোকাম্মেল। একাধিক জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এই ছবিতে অভিনয় করেন তৌকির আহমেদ, চাঁদনী, রাইসুল ইসলাম আসাদ, চিত্রলেখা গুহ, রওশন জামিল, আলী জাকের প্রমুখ। ধর্মভীরু বাঙালীকে ধর্মের দোহায় দিয়ে কত সহজে যে প্রতারিত করা যায় এই ছবিতে মূলত তাই দেখানো হয়েছে। ১১০ মিনিট দৈর্ঘের ছবিটি ২০০১ সালে মুক্তি পায়।
- DirectorSatyajit RayStarsKanu BannerjeeKaruna BannerjeeSubir BanerjeeImpoverished priest Harihar Ray, dreaming of a better life for himself and his family, leaves his rural Bengal village in search of work.
- DirectorSatyajit RayStarsSoumitra ChatterjeeSharmila TagoreAlok ChakravartyThis final installment in Satyajit Ray's Apu Trilogy follows Apu's life as an orphaned adult aspiring to be a writer.